Now Reading
বহিরাগতের চোখে বোলপুরের দুর্গা ও হুদুড় দুর্গা

বহিরাগতের চোখে বোলপুরের দুর্গা ও হুদুড় দুর্গা

Avatar photo
Santhal children standing in front of Durga Puja Pandal

চেনা শান্তিনিকেতন পেরিয়ে অচেনা বোলপুর। চেনা দুর্গোৎসবের ফাঁকে অচেনা হুদুড় দুর্গার স্মৃতি। মিথের রাজনীতি না ইতিহাসের টুকরো? যে মাটির কাছাকাছি ঘর বেঁধেছিলেন রবি ঠাকুর ভদ্রলোক আর ব্রাত্যজনের সেতুসন্ধানে, যাপনে আজ সে কতটুকু? উত্তর খোঁজার চেষ্টা বিশ্বজিৎ রায়ের কলমে।

বোলপুর- শান্তিনিকেতনের নাগরিক বলয় থেকে কয়েক কিলোমিটার এগোলেই এক অন্য বীরভূম। ইউনেস্কোর উমাকে ঘিরে কলকাতার উতরোল জনকল্লোল দূরের কথা, রবি ঠাকুরের প্রাণের শহরের বড় রাস্তায় উৎসবের কোলাহল বা বিজ্ঞাপনী উচ্ছলতার ঢেউ সেখানে পৌঁছয় না।

ইলামবাজার যাবার পথে রাইপুর এলাকার মির্জাপুর ও চন্দনপুর গ্রাম। সরকারি খাতাপত্রে এই গ্রামদুটি বোলপুর থানার মধ্যেই। তবে পুজোর দিনগুলোতেও সন্ধ্যায় সেখানে গ্রামের বেশির ভাগ রাস্তায় আলো জ্বলেনি। টর্চ জ্বালিয়ে পথ চলতে হচ্ছে। বৃষ্টিবাদলা এখনো জারি। সাপখোপের উৎপাতও।

তবু আমার পঞ্চমী- ষষ্ঠীর সন্ধ্যা আলোয় উজ্জ্বল হয়ে উঠল বিবেকানন্দ আবাসিক আশ্রমের শিশুদের কল্যাণে। নার্সারি থেকে সপ্তম শ্রেণী পর্যন্ত ছেলে ও মেয়েরা এখানে থেকে বাইরে সরকারি স্কুলে পড়াশোনা করে। বেশিরভাগ শিশুই আদিবাসী , মূলত সাঁওতাল। এছাড়া নিম্নবর্ণের হিন্দু ঘরের ছেলেমেয়েরাও আছে। অধিকাংশের বাবা-মা হতদরিদ্র, কৃষিজীবী মানুষ। অনেকের বাবা-মা নেই।

এইসব সহায়সম্বলহীন পরিবারের শিশুদের জন্য আশ্রমটি গড়ে তুলেছেন একদা সুন্দরবনবাসী এক শিক্ষাব্রতী, হোমিওপ্যাথ চিকিৎসক। প্রচারে অনাগ্রহী মানুষ তার নাম লিখতে দিতে চান না। তিনি ও তার স্ত্রী মিলে কাছে দূরের কিছু সহৃদয় মানুষের সাহায্যে আশ্রমটি চালাচ্ছেন ২০০৭ সাল থেকে। আশ্রমের সাধ্যানুযায়ী পুজোর কদিন দুপুর বা রাতের খাবারের আইটেমে রকমফের। দইবড়া থেকে চাওমিন। জেলার বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং ব্যক্তি সূত্রে ছেলেমেয়েদের নতুন জামাকাপড় মিলেছে।

ষষ্ঠীর রাতে ওদের সিনেমা দেখার সাধ ছিল। দুধের স্বাদ ঘোলে মিটেছে আমার ভাঙ্গা ল্যাপটপের পর্দায় সন্দীপ রায়ের রয়েল বেঙ্গল রহস্য দেখে। ঘুমোতে যাওয়ার সময় পেরিয়ে গেল বলে ফেলুদার মগজাস্ত্রের পুরো কেরামতিটা ওদের দেখা হলো না। বিরতিতেই যবনিকা পতন ঘটাতে হলো।

নানা সূত্রে জানলাম জেলা প্রশাসনের কর্তাদের তরফ থেকেও নানা সময় কিছু সাহায্য মিলেছে। তবে প্রতিশ্রুতি ও প্রয়োজনের তুলনায় তা নিতান্তই কম। তাই ঝড়ে উড়ে যাওয়া আশ্রমের বাথরুম গুলোর টিনের চালগুলো টাকার অভাবে আজও মেরামত করা সম্ভব হয়নি। তবে প্রতিবছর জেলার শীর্ষস্থানীয় পুলিশকর্তাদের উদ্যোগে স্থানীয় পুলিশ আশ্রমের বাচ্চাদের বিভিন্ন মণ্ডপে প্রতিমা দর্শন করতে নিয়ে যায়। পথে খাবারের প্যাকেট।

পুলিশের সঙ্গে ঘুরতে বেরোনোর আগে সপ্তমীর সকালে ছেলেমেয়েরা মিলে আশ্রমের বাগানের বিভিন্ন গাছের পাতা- ফুল তুলে কাগজে সেঁটে সেগুলোর নাম লিখে প্ল্যাকার্ড বানালো। একটি গাছ একটি প্রাণ, গাছ ফুল চিনুন, গাছ বাঁচান – লিখে সেগুলো ওরা মন্ডপে মন্ডপে দেখাবে। কচি কচি আঙুলে প্যাস্টেল রংয়ে একে একে ফুটে উঠল ওদের চেনা আকাশ – মাটি আর মানুষের মুখ। আগের সন্ধ্যার মন্ডপ পরিক্রমার কিছু ছায়াও পড়লো তাতে। তার আগে বিকেলে ফুটবল খেলার নানা দৃশ্যও। কিন্তু আকাশের মুখ ভার থাকায় শেষ পর্যন্ত ওরা ওদের চলমান চিত্র প্রদর্শনী বোলপুরের নানা পাড়ায় নিয়ে যেতে পারলো কিনা তা আমি দেখে আসতে পারিনি।

গ্রামগুলিতে বারোয়ারি পূজোর পাশাপাশি পারিবারিক পুজো বেশ কয়েকটি। তার মধ্যে রাইপুর রাজবাড়ি, নন্দী ও গুপ্ত পরিবারের প্রবীণ ও নবীন প্রজন্মের দাবি অনুসারে সেগুলো ৩০০ থেকে ৪০০ বছরের পুরনো। সদ্য কলি ফেরানো নাটমন্দিরগুলো দেখলে বোঝা যায় পারিবারিক ঐতিহ্য ধরে রাখার কাজটি শ্রম ও ব্যয়সাধ্য। তবে নাগরিক মোচ্ছবের আকর্ষণ এড়িয়ে আলোকসজ্জাহীন পৈত্রিক গ্রামে পা রেখেছেন যেসব তরুণ তরুণী, তাদের সঙ্গে কথা বলে আশা জাগল।

বর্ণহিন্দুদের সঙ্গে দীর্ঘকাল পাশাপাশি থেকে বোলপুর শান্তিনিকেতনের আদিবাসীদের একটি বড় অংশই আজ দুর্গা পুজোর সঙ্গে নানা ভাবে যুক্ত। ভাষা -সংস্কৃতির দিক থেকে তাদের বাঙালিকরণও অনেকটাই সম্পূর্ণ। অষ্টমীর সন্ধ্যায় খোয়াইয়ের পথে বল্লভপুর ফরেস্ট এলাকায় সোনাঝুরিতে হীরালিনী দুর্গোৎসব শিল্পী বাঁধন দাসের উদ্যোগে শুরু। স্থানীয় লোকশিল্পের নানা পসরার জন্য টুরিস্ট মহলে জনপ্রিয় এই হাটের অঙ্গনে পুজোর মণ্ডপ সজ্জা ও প্রতিমার গড়ন পুরনো পটুয়া দের মনে পড়ায়। দেখলাম আদিবাসী ছেলে মেয়েরা মঞ্চে মাইক হাতে গান গাইছে। সামনে তাদেরই একদলের ঐতিহ্যগত নাচ চলছে।

যদিও মাঝিপাড়াগুলোতে মহালয়ার দিন থেকে বেলবরণ পরবের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল তাদের নিজস্ব দাসাই পরব। আমি যেখানে আপাতত ঠাঁই নিয়েছি, সেই বাগানপাড়ায় বাবুদের বাগান ঘেরা বাড়িগুলির ফাঁকে ফাঁকে সাঁওতাল পাড়া। সেখানকার ছেলেরা দল বেঁধে দাসাই নাচ নাচতে এলো। ধামসা মাদল বাজিয়ে ময়ূরের পালক মাথার ফেটটিতে গুঁজে সমবেত নাচ ও গান। পাড়ায় পাড়ায় এভাবেই নেচে গেয়ে টাকা তোলা হয়। নিজের চোখেই দেখলাম সেই টাকার বেশির ভাগটাই এখন যায় মদ – মাংসের আয়োজনে। অধিকাংশ জোয়ানই দাসাই পরবের মূল উৎস সম্পর্কে, আদিবাসী দের সাংস্কৃতিক- সামাজিক মিথ ও ইতিহাস তথা তার রাজনৈতিক অভিঘাত বিষয়ে ওয়াকিবহাল নয়।

ওদের প্রবীণ প্রজন্মের কাছে শুনেছি, দাসাই পরব আসলে আদিবাসীদের, বিশেষ করে সাঁওতাল, খেরোয়াল ও অসুর জনজাতির মানুষের কাছে শোকের সময়। বৈদিক ইতিহাস তথা হিন্দু পুরাণ মতে অত্যাচারী, দেববিরোধী মহিষাসুরকে যুদ্ধে হত্যা করেন দেবকুলের সমবেত শক্তির মূর্ত প্রকাশ মহামায়া তথা দেবী দুর্গা। দুর্গোৎসবে তাই তিনি নায়িকা আর অসুর খলনায়ক। কিন্তু আদিবাসীদের সমান্তরাল পুরাণকথা তথা হুদুড় দুর্গা আখ্যান অনুযায়ী মহিষাসুর একজন পরাক্রান্ত ন্যায়বান বীর রাজা ছিলেন। তার সঙ্গে যুদ্ধে এঁটে উঠতে না পেরে দেবতারা দুর্গারূপী মোহিনীকে পাঠান।

কোনও একটি বয়ানে দুর্গা ছলেবলে অসুর রাজাকে বধ করেন। অন্য বয়ানে বলা হয়, দেবী অসুররাজকে যুদ্ধে আহ্বান করলেও তিনি নারীর সঙ্গে যুদ্ধ করতে রাজি হননি। বদলে তার অস্ত্রাঘাত সহ্য করেন। রক্তপাত হতে হতে মারা যান দশমীর দিনে।

তাই দাসাই পরব চলাকালীন সাঁওতাল ছেলেরা কেউ কেউ শাড়ি পরে দেবী দুর্গাকে নকল করেন। আর একদল আহত অসুররাজের জন্য জঙ্গলের গাছগাছড়া থেকে ভেষজ ঔষধি খুঁজতে যান। ঝাড়খন্ড ,ছত্রিশগড় থেকে গাঙ্গেয় উত্তর ভারতের আদিবাসী এলাকা গুলোতে অনেক জনগোষ্ঠী দুর্গোৎসবের পর্বে ঘরে ঘরে অরন্ধন পালন করেন। এই প্রাচীন কাহিনী মনে রেখে বোলপুরের বাগানপাড়ার আদিবাসী ছেলেরাও বিশ্বভারতীর সীমানা পাঁচিল টপকে কুমিরডাঙ্গার মাঠে গাছগাছড়া খুঁজে বেড়ালো। সাপের মতো এঁকেবেঁকে এগোনো সীমানা পাঁচিলের ভেতরে আদিবাসী সহ অন্যদের অনুপ্রবেশ সরকারিভাবে এখন নিষিদ্ধ হলেও কর্তারা উৎসবের মরশুমে কিছু ছাড় দিয়ে থাকেন।

See Also
Iman Chakraborty

প্রাচীন ভারতের বৈদিক সংস্কৃতি বনাম আদিবাসী সংস্কৃতির সংঘাত ও সমন্বয় ঘিরে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন তথা সংস্কৃতায়ন প্রক্রিয়ায় দূর্গা ও মহিষাসুর বধকাহিনী উত্তর ও পূর্ব ভারতে অতীব গুরুত্বপূর্ণ। এনিয়ে সমান্তরাল পুরাণকথার রাজনৈতিক অভিঘাত সংসদ পর্যন্ত পৌঁছেছে। হুদুড় দুর্গা কাহিনী ও দাসাই পালনের মধ্যে দিয়ে দনুজদলিনী দেবী মহামায়াকে নেহাত এক আর্য মোহিনী প্রতিপন্ন করা হচ্ছে, এহেন অভিযোগে ক্রুদ্ধ, আবেগরুদ্ধ দেশের আজকের শাসক গেরুয়া শিবির। এই বিষয়ে একদা সিরিয়ালের ‘তুলসী’, অধুনা বিজেপি নেত্রী ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানীর সংসদে নাটুকে বক্তৃতা অনেকের মনে থাকতে পারে।

তবে আর্যাবর্তীয় ব্রাহ্মণ্যবাদ বা কট্টর হিন্দুত্ববাদের বিরোধিতায় মৌরসিপাট্টার দাবিদার বাংলার নেতা-নেত্রীদের ভাবনায় প্রতিস্পর্ধী, প্রান্তিক ও সমান্তরাল সাংস্কৃতিক- সামাজিক ঐতিহ্যগুলোকে সমমর্যাদায় না হোক, পাশাপাশি তুলে ধরায় কোনও আগ্রহ নেই। তাই দাসাই পরবকে কেন্দ্র করে দুর্গোৎসবের ভিন্ন সাংস্কৃতিক বয়ান আদিবাসী বহুল গ্রাম ও শহুরে এলাকা গুলোতেও পূজো মন্ডপের ভেতরে না হোক, বাইরেও চোখে পড়েনি। এটা কোন বিশেষ রাজনৈতিক দলের মানসিকতার সমস্যা নয়। সামগ্রিকভাবে বাঙালি বর্ণহিন্দু সমাজের অনেক কালের একমেটে মানসিকতাই এতে স্পষ্ট। আরযাবর্তীয় মহাভারতীয় বয়ানে পাণ্ডবর্জিত ও ম্লেচ্ছদের দেশ বাংলায় জাত পাতের অভিমান কত তীব্র তা আমাদের নলচে আড়াল করে হুঁকো খাবার ঐতিহ্য থেকে স্পষ্ট।

সে কারণেই আমার পাড়ার পুজোয় মন্ডপে বসে প্রতিবেশীদের সাথে একসাথে খাওয়া দাওয়ার আনন্দ উপভোগ করতে করতে বসে দেখলাম সেখানে সাঁওতালপাড়ার কেউ নেই । যদিও দু তিনজন মহিলা উচ্ছিষ্ট পাতা ইত্যাদি সরানোর কাজে ব্যস্ত। পুজোর উদ্যোক্তা প্রবীণদের কাছে জানলাম আগে এই পুজোর উদ্বোধন পাড়ার প্রবীণতম সাঁওতাল পুরুষ তথা বড় মাঝিকে দিয়ে করা হতো। গত বছরও এটি করেছেন রামু সরেন, যিনি ছিলেন এ পাড়ার সাঁওতালদের নাইকি বা পুরুত । তাকে নিয়ে আমি কয়েক দিন আগে একটি গল্প লিখেছি ফেসবুকে। নাম ভিটে গাছ। আগ্রহী বন্ধুরা পড়ে দেখতে পারেন।

নাইকি মারা যাওয়ার পরে এবছর আর তেমন কোনও মাতব্বর মাঝিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারাও নাকি আগ্রহ প্রকাশ করেননি। পুজোর দিনগুলোতে মন্ডপে প্রতিবেশীদের প্রীতিভোজনে অবশ্য সাঁওতাল পরিবার গুলিকে উদ্যোক্তারা ডাকেননি কখনো। “আমরাও খেতে ডাকিনি। ওরাও আসেনি। এভাবেই চলছে। ” এক প্রবীণ উদ্যোক্তার মন্তব্য। গলায় কিছুটা অস্বস্তি, কিছুটা সাফাই এবং তার সঙ্গে ঔদাসীন্য ফুটে উঠলো। ধর্মীয় ও সংস্কৃতির অন্যান্য ক্ষেত্রে আদিবাসীদের বাঙালি বা হিন্দুকরণ বহুদূর এগোলেও সামাজিক সম্পর্কে উঁচু – নিচু পংক্তিভেদ এখানে আমার সামান্য অভিজ্ঞতাতেই ধরা পড়েছে। পাশাপাশি ভদ্রলোক বাবুদের অভিযোগ এবং আতঙ্ক আদিবাসী সমাজের মাতব্বরদের অনেকের অবরুদ্ধ মানসিকতা এবং তদজনিত আকস্মিক অপমানবোধ ও ক্রোধকে ঘিরে। স্কুলছুট যুবকদের মধ্যে নেশা ভাঙের প্রকোপও প্রবল সেটা নিজেই দেখছি। কিন্তু বিশ্বায়ন পরবর্তী বাঙালি সমাজ ও তরুণ প্রজন্মও তো আর বাপ ঠাকুরদার আমলে পড়ে নেই!

আজকের বাঙালি সমাজের মানসিকতার প্রকাশ তো রাজনীতিতেও প্রকট। প্রশাসনের ক্ষেত্রেও সেটাই নিয়ম। তাই বাগানপাড়া -বালিপাড়া সহ আশেপাশের বেশ কিছু পল্লীর মাঝি পাড়া গুলো এই পুজোর দিনগুলোতেও অন্ধকারে ডুবে আছে। শ্যামবাটি ক্যানাল পেরিয়ে প্রান্তিক টাউনশিপ মুখী গোটা রাস্তাটাতেও এমনি ঘুটঘুটে অন্ধকার। সদ্য পঞ্চায়েত থেকে পৌর এলাকায় পরিণত হওয়া এই এলাকাগুলোতে রাস্তার আলো জ্বালানোর দায়িত্ব কার, কেইবা বিল ভরবে, এই নিয়ে টানা পড়েনে সূর্য ডুবলেই মূলত মাঝিপাড়াগুলো ফিরে যায় রবি ঠাকুরের আশ্রম তৈরির দিনগুলোতে।

স্থানীয় পুরপিতার সাফাই তার এলাকা অনেক বড় হলেও রাস্তায় আলো জ্বালানোর জন্য বরাদ্দ বেশি জোটে না। অন্ধকার চিরে মোটরসাইকেল বা গাড়ির হেডলাইট গুলোর ক্ষণিক ঝলক মনে করিয়ে দেয় এটা ২০২২ সাল। আর হ্যাঁ, মাঝি পাড়াগুলোর কাছে দূরে মন্ত্রী – নেতা দুর্গপ্রমাণ বাড়িগুলির সামনে সার্চলাইট ও স্ট্রিট লাইটগুলি জানান দেয় বহুকাল ধরেই ক্ষমতার সঙ্গে আলো বা আলোকায়নের সম্পর্ক গভীর। এখন তা গভীরতর।

What's Your Reaction?
Excited
0
Happy
1
In Love
1
Not Sure
0
Silly
0
View Comments (0)

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Scroll To Top