নিজের যত্ন নিজে করুন



Raj Kumar Mukherjee - sexagenarian. A father, a husband and…




ঘরে ঘরে কিডনির অসুখ।মহামারীর আকার ধারণ করতে চলেছে। আসন্ন মহামারী থেকে নিজেকে দূরে সারিয়ে সরিয়ে রাখতে চান? খুব সোজা,হাঁটুন, হাঁটুন রোজ হাঁটুন। এবার থেকে হাঁটা প্র্যাকটিস করুন। নিজের যত্ন নিজে নিন। দেখি এ ব্যাপারে নেফ্রোকেয়ার কি বলছে। কলমে: রাজ কুমার মুখার্জী।
গত ১৫ই ডিসেম্বর ২০২৩ নেফ্রোকেয়ার এক অভিনব পদ্ধতিতে তাদের দু’বছরের পথ চলা উদযাপন করলো। প্রায় ৪০০ জন অংশগ্রহণকারীকে নিয়ে ৩০ মিনিটের পদযাত্রা। ৪০০ জনের মধ্যে চিত্রনির্মাতা নন্দিতা রায়, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় মতন ব্যক্তিত্ব যেমন ছিলেন, সেই রকম ডঃ প্রতিম সেনগুপ্ত, ডঃ তীর্থঙ্কর বাগচী। আবার ছিলেন আশিস মিত্তালের মতন ব্যবসায়িক ব্যক্তিত্ব।
মনে প্রশ্ন আসতে পারে ৩০ মিনিটের পদযাত্রার মধ্যে এমন কি নতুনত্ব আছে? ডঃ প্রতিম সেনগুপ্ত, নেফ্রোকেয়ারের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, বললেন রোজ ৩০ মিনিটের দ্রুত হাঁটা, কিডনিকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। সারা দেশের প্রতি ১১ জন নাগরিকের মধ্যে একজন কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত। ভারতের মতন দেশে রোগ নিরাময়ের চেয়ে রোগ প্রতিরোধ করা বেশি জরুরী। জীবনধারা পরিবর্তন করে অনেক রোগ কে ঠেকানো যায়। কিডনি, ৭০ শতাংশ কর্মক্ষমতা হারানোর পর ধরা পড়ে তার সমস্যা। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে শতকরা ৩০ জন কিডনির অসুখ বা রেনাল ফেলিওরে ভোগেন। যথেচ্ছ পেইন কিলারের ব্যবহার রেনাল ফেলিওর হবার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ।
আমাদের দেশে বর্তমানে প্রায় দু লক্ষ মানুষ এন্ড স্টেজ রেনাল ডিজিজ এ ভোগেন, যাঁদের জীবনকে টিকিয়ে রাখার জন্য ডায়ালিসিস করার প্রয়োজন। অনুমান করা হয় যে দেশের ৭২০০০ জন রেনাল ফেলিওর রোগী প্রতি একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। রোগী এবং ডাক্তারের সমানুপাতিক হার যে খুব খারাপ, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। এছাড়াও রয়েছে অপ্রতুল ডায়ালিসিস সেন্টার।
ডঃ সেনগুপ্ত জানালেন নেফ্রোকেয়ারের কর্মকান্ডের কথা। জানালেন কিভাবে মানুষের পাশে, পরিবারের একজন হয়ে সহানুভূতির সঙ্গে চিকিৎসা করার কথা। ডঃ সেনগুপ্ত আরও জানালেন নেফ্রোকেয়ার আগামী বছরগুলিতে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষের জীবনকে স্পর্শ করার জন্য ৩০০টি ব্যাপক এবং সামগ্রিক কিডনি যত্ন ইউনিট স্থাপন করতে চলেছে। এই পরিসংখ্যান থেকে একটা ধারণা স্পষ্ট হয় যে নিজেদের জীবনধারার পথ যদি পরিবর্তন করা না হয়, তবে ওই ১০ লক্ষ মানুষের মধ্যে আমার নিজের নামটাও থেকে যাবে।
সর্বপরি মনে রাখতে হবে ব্যয়বহুল চিকিৎসা কিন্তু শুধুমাত্র আপনার আর্থিক ক্ষতি নয়, আপনার মানসিক শান্তি ব্যাঘাত করতে পারে।
শীতের সকালে গায়ে সোনা রোদ মেখে সল্টলেকের AMRI হসপিটাল থেকে পদযাত্রা শুরু এবং শেষ সল্টলেকের গোল্ডেন টিউলিপ হোটেলে। একটি চা চক্রের মধ্যে দিয়ে প্রেস মিটের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি।
এ রোগের মোকাবিলা করার জন্য সবার এগিয়ে আসা উচিত। আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে নিজের শরীরের। জীবনধারা বদল, নিয়মিত হাঁটা – এই সামান্য অথচ অসামান্য দুটি কাজ করে যেতে পারলে ভয়ংকর মহামারী রেনাল ফেলিওর থেকে মুক্তি পাবার একটা উপায় হতে পারে। ৩০ মিনিটে তিন কিলোমিটার হাঁটার মাধ্যমে শুরু করা যেতেই পারে নিজের কিডনির খেয়াল রাখার কৌশল। শুধুমাত্র একদিন নয়, প্রতিদিন হাঁটতে হবে জোর কদমে মাত্র ৩০ মিনিট। অন্যের জন্য নয় – নিজের জন্য।
What's Your Reaction?

Raj Kumar Mukherjee - sexagenarian. A father, a husband and a son, who has finally let go of excelsheets and PowerPoints and picked up a pen instead. A child at heart, he reminisces his childhood days and wishes that the world was a better place for all of us. An avid reader and storyteller at heart, he is spending his retirement by reading books, experimental cooking (mostly failures!) and writing.