নারী দিবস – আমি নারী, আমিই পারি
Raj Kumar Mukherjee - sexagenarian. A father, a husband and…
নারী দিবস উপলক্ষে রাজকুমার মুখার্জির প্রতিবেদন “আমি নারী, আমিই পারি” , নারী মানেই চার দেয়ালের মধ্যে বন্দি নয়। নারী মানে হাতা খুন্তি নিয়ে জগত নয়। নারী মানেই শুধু সন্তান প্রতিপালন, সন্তান উৎপাদন নয়। এছাড়াও নারী নিজেকে অনেক ভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
৮ই মার্চ, আন্তর্জাতিক নারী দিবস। ব্যানার, ফেস্টুন, অফিস কাছারিতে মহিলাদের মধ্যে চকলেট বিতরণ, মোবাইল ফোনে, ল্যাজা মুড়ো না বোঝা, শুভেচ্ছা বার্তা – বেশ একটা মাখো মাখো ব্যাপার চলবে। আন্তর্জাতিক নারী দিবস কবে শুরু হয়েছিল , নারী দিবস শুরু কোথায় হয়েছিল, এসব হয়তো সবাই জানেন। নারী দিবস উপলক্ষে আমার মনে হয়েছে কিছু কথা বলা দরকার। হয়তো জানা বা অজানা, যাই হোক না, নারী অবমাননার কথা বলার এবং নারী কে সম্মান করার জন্য সোচ্চার হবার দিন এসেছে। চার দেওয়ালের বন্দী দশা আর নয়।
আমরা পুরুষেরা অনেকই (অবশ্যই সব পুরুষের কথা বলছি না) মহিলাদের হীনচোখে দেখে থাকি। এ কথা আমি বলছি না, বলছে আমাদের মহাকাব্য।
আদিকাল থেকে নারী নির্যাতন, একটি পরম্পরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। একটু গুছিয়ে বলি — পৃথিবীর চারটি মহাকাব্যের একটি মহাভারত। তারই একটি ঘটনা বলি। হস্তিনাপুর রাজ সভা। যুধিষ্ঠির পাশা খেলায় হেরে চলেছেন, শেষ বাজি পাঞ্চালি। শকুনির পাশার দান পড়েছে, সবাই চুপ। অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র জানতে চাইছেন, কে জিতল? এই দানের বাজি দ্রৌপদী।সভাঘরে বীরের তকমা মারা ভীষ্ম, দ্রোণাচার্য, কৃপাচার্য্য, কর্ন, সব নপুংসকের দল। দ্রৌপদীর উলঙ্গ শরীর দেখার অসীম ইচ্ছাকে রাজ ধর্মের দোহাই দিয়ে মজা লুটছেন। তন্তুর বন্ধনের অপার ক্ষমতায় দ্রৌপদীর বস্ত্র কিছুতেই শেষ হচ্ছে না, নপুংশকদের রাজ্যসভায় দুঃশাসন, দ্রৌপদীকে উলঙ্গ করতে পারলেন না, ছেলের বখে যাওয়ার লালসায় শ্রীকৃষ্ণ জল ঢেলে দিয়েছেন, ঠিক সেই মুহূর্তে লাঞ্ছিত পাঞ্চালিকে ধৃতরাষ্ট্র বলছেন – তুমি আমার কাছে বর চাও – আমি দেবো। নাথবতী স্ত্রী, এতো লাঞ্ছনা সহ্য করে প্রথম বরে যুধিষ্ঠিরের দাসত্ব মুক্তি চাইছেন, দ্বিতীয় বরে ভীম, অর্জুন, নকুল, সহদেবের দাসত্ব মুক্তি চাইছেন। ধৃতরাষ্ট্র বলছেন তোমার তৃতীয় বর কি? পাঞ্চালি রাজপাট ভিক্ষা চাইলেন না। রাজপাট বাজিতে হেরেছেন তাঁর পঞ্চ স্বামী, উদ্ধারের দায়িত্ব পঞ্চস্বামীর। পাঞ্চালি ভরসা করেন অর্জুনের গান্ডিব, ভরসা করেন ধর্মের বাহক যুধিষ্ঠিরের বর্শা, ভরসা করেন বলশালী ভীমের বাহুবল। নিজে লাঞ্ছিত হয়েও স্বামীদের প্রতি যোগ্য সন্মান দেখানোর কোন খামতি নেই।
ক্ষত্রিয় নারী একটি বর, রাজা তিনটি বর এবং ব্রাহ্মণ একশটি বর প্রদান করতে পারেন। তবুও পাঞ্চালি তৃতীয় বর চাইলেন না। এত লাঞ্ছনার পর স্বামীদের প্রতি সম্মান, নাথবতী হয়েও অনাথবত।
এ প্রসঙ্গে একটি কথা না বলে পারছি না। কোন স্ত্রীর যদি পুরুষ বন্ধু থাকে, তার গায়ে বেশ্যা, ব্যভিচারিণী ইত্যাদি প্রভৃতির তকমা অনায়াসে সেঁটে দেওয়া যায়। কিন্তু একজন পুরুষের এক বা একাধিক বান্ধবী থাকে? যদি কোন পুরুষ একাধিক নারীকে তার শয্যা সঙ্গিনী করে? তাকে কি পুরুষ বেশ্যা বলা হবে ? মহাবীর কর্ন, তোমার শয্যাসঙ্গিনী একাধিক, তবে কি তোমায় পুরুষ বেশ্যা বলা হবে? পন্ডিতগণ কি বলেন? এযুগে কর্ণের মত কাউকে খুঁজে পেলে তাকে বোধহয় ‘ফুল টু মস্তির আদর্শ উদাহরণ ‘ বলে আনন্দে উল্লাসিত হয় পুরুষ সমাজ। অনেকে আবার আক্ষেপ করেন, ‘ও পারছে আমি পারছি না’। বাহ্ পুরুষ বাহ্।
একটা কথা মনে রাখতে হবে, নারীরা কিন্তু সর্ব ক্ষেত্রে পুরুষের সমান সমান। কে খারাপ কে ভালো সেটা বলার আগে একশ বার ভেবে দেখা উচিত। আবার নারী স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে উশৃঙ্খল হওয়া, শোভন নয়।
আজ ২০২৩ সালে আমরা নারী দিবস পালন করছি । কিন্তু মহিলাদের প্রতি এক এক সময় এমন ব্যবহার করি, যা আমাদের সমস্ত পুরুষ সমাজের কাছে লজ্জ্বা জনক। সকালের খবরের কাগজ খুললে নারী নির্যাতনের খবরে আপনার চোখ আটকে যাবে, কারণ অবশ্য সহানুভূতি ভেবে ভুল করবেন না, কারণটা মনের সুপ্ত এক বিকৃত অনুভূতি। আদ্দিকাল থেকে শিখে এসেছি, দেখে এসেছি – বাড়ির ঘরকন্নার কাজের দায় তোমার। হুকুম করব আমি, তামিল করবে তুমি — কারণ তুমি নারী। স্ত্রীর নিকট আত্মীয় (বাবা বা মা) মারা গেলে অসৌচ তিন দিনের, শ্বশুর বাড়ির কেউ মারা গেলে পুরো নিয়ম – কেন ভেবে দেখেছেন কি? খুব সহজ উত্তর – গোত্রান্তর। বাজে কথা – তুমি বেশী দিন নিয়ম মানলে আমার হুকুম কে শুনবে, দৈহিক চাহিদা কে মেটাবে? আমি পুরুষ, আমি ঠিক করব, তোমার কোনো অধিকার থাকবে না। এমনকি তোমার সুখ, দুঃখ কতটুকু হবে, তার মাপকাঠি থাকবে আমার হাতে। আদিম অসভ্য যুগে তোমায় বেঁধে রেখেছিলাম, ভালোবাসা দিয়ে নয়, শিকল দিয়ে। শিকল বন্ধন আজ লোহা বাঁধানো, বর্শার তীক্ষ্ণ ফলায় তোমার সিঁথি রক্তাক্ত করে জানান দিয়েছি – এই মহিলা আমার ভোগ্য, কালের চাকায় আজ সেটা বিবাহিত মহিলারা সিঁথির সিঁদুর।
প্রাচীন ভারতে মহিলারা কিন্তু স্বাধীন ছিলেন। প্রাচীন ভারতে নারী শিক্ষা বহুল প্রচলিত ছিল। অপালা, মৈত্রেয়ী, লোপামুদ্রা, গার্গী প্রভৃতি নারী বিদুষী ছিলেন। বৈদিক যুগে নারীদের যথেষ্ট সম্মান ছিল। বিদুষী নারী তাঁর যোগ্য স্বামী খুঁজে নেবার অধিকার রাখতেন। স্বয়ম্বর সভা তার সাক্ষ্য বহন করে। বাল্য বিবাহ, বৈধব্য এসবের প্রচলন ছিল না। শিক্ষা ও বিদ্যাভাসের কোন বাধা ছিল না। মন্ত্র পাঠ, পূজার্চনা করার ক্ষেত্রে কোন নিষেধাজ্ঞা ছিল বলে জানা যায় না। এমনকি ঋকবেদে বহু স্তোত্র নারী দ্বারা রচিত। পাণিনির লেখা গ্রন্থে, নারীদের পঠন পাঠনের কথা বলা আছে।
এবার বলি ঋষি যাজ্ঞবল্ক পত্নী গার্গী র কথা। গার্গী কে বেদে দার্শনিক বলে আখ্যা দেওয়া আছে। মৈত্রেয়ীর মত বিদুষীর কথাও উপনিষদে পাই। বৃহদারণ্যক উপনিষদ অনুযায়ী রাজা জনক রাজসূয় যজ্ঞ করেন এবং বহু নামী পণ্ডিতকে নিমন্ত্রণ করেন। তর্ক যুদ্ধের সময় কেবল মাত্র উসস্ত, অশ্বলা, যাজ্ঞবল্ক, উদ্দালক প্রভৃতি সাতজন ঋষি এবং গার্গী ছাড়া আর কেউ তর্ক যুদ্ধে রাজি হন না। গার্গী, ঋষি যাজ্ঞবল্ক কে নানা প্রশ্ন বানে জর্জরিত করেন, ঋষি প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে থাকেন। অবশেষে ঋষি যাজ্ঞবল্ক কে গার্গী প্রশ্ন করেন ব্রাহ্মণ কে? ঋষি তখন তর্ক যুদ্ধ থেকে বিরত হন। ঋষির এই বিনয় গার্গী কে মুগ্ধ করে এবং ঋষি যাজ্ঞবল্ক কে শ্রেষ্ঠ গুণী বলে অভিহিত করেন। পরবর্তী সময়ে ঋষি যাজ্ঞবল্ক গার্গীর পাণিপ্রার্থী হন ও তাঁদের বিবাহ হয়। এক সময়ে মিথিলার নবরত্ন সভায় গার্গী একজন রত্ন হয়ে সভা অলঙ্কৃত করেন।
মনুসংহিতা তে নারী সম্পর্কে অন্য কথা বলা আছে। নারী সর্বদা অভিভাবকের তত্বাবধানে থাকবে। বাল্যকালে পিতা, বিবাহের পর স্বামী ও বৃদ্ধ কালে পুত্রের অভিভাবকত্বে। অর্থাৎ সেই সময় থেকেই সমাজের অবক্ষয় শুরু বলে ধরা যায়। শুরু হল পুরুষ তান্ত্রিক সমাজ। পরবর্তী কালে ব্রাহ্মণরা সাধারণ মানুষের মধ্যে কতকগুলি আচার, বিধান দিতে শুরু করেন। জাতপাতের সূচনা অবশ্য আরও পরে আসে। এই আচার বিধানের মধ্যে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ন – নারীদের বেদ পাঠ থেকে বিরত থাকা, পূজা অর্চনা না করতে পারা প্রভৃতি। শুরু হল বহু বিবাহ।
১৮০০ শতাব্দীতে সংস্কৃত, গ্রীক, ল্যাটিন, ইংরেজি ও বাংলা ভাষার পণ্ডিত মাইকেল মধুসূদন দত্ত তাঁর ‘ বীরাঙ্গনা ‘ পত্র কাব্যে পুরাণের এগারো জন নারীকে বীরাঙ্গনা আখ্যা দিয়েছেন। তাঁদের স্বামী/আর্য কে উদ্দেশ্য করে চিঠি লিখে তাঁদের কে অধর্ম থেকে বিরত থাকতে কখনও অনুরোধ, কখনও ধিক্কার করেছেন। যেমন আমরা দেখি দুস্মন্তের প্রতি শকুন্তলা; দশরথের প্রতি কৈকেয়ী; শান্তনুর প্রতি জাহ্নবী ইত্যাদিতে। জয়দ্রথের প্রতি দুশালা তে – কর্ন, দ্রোণ, কৃপাচর্যা, শকুনি, অশ্বত্থামা, দূর্যোধন ও দুঃশাসন – সপ্তরথী কর্তৃক অভিমন্যু বধের খবরে উতলা দুশালা তাঁর স্বামী জয়দ্রথ কে কাতর অনুনয় করছেন যুদ্ধ থেকে বিরত থাকার জন্য। কিংবা নিলধ্বজের প্রতি জনা তে – পাণ্ডবদের অশ্বমেধ ঘোড়া কে আটকে অর্জুনের হাতে, নিলোধ্বজ – জনা পুত্র, প্রবীরের বধ হবার পরেও প্রবীরের পিতা নিলোধ্বজ, অর্জুনের সঙ্গে সখ্যতা করেন, যা দেখে নিলোধ্বজ পত্নী জনা স্বামীকে তিরস্কার ও প্রাণত্যাগ করার সংকল্প করেন। অথবা দুর্যোধনের প্রতি ভানুমতির অনুনয়। ভানুমতি দূর্যোধন কে বোঝানোর চেষ্টা করছেন যে কেবল মাত্র পাঁচটি গ্রাম পাণ্ডবদের প্রদান করলে এই রক্ত ক্ষয় যুদ্ধ বন্ধ হয়।
সকল স্ত্রী তাঁর স্বামীর শুধু ভালো নয়, উপযুক্ত ও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে চেয়েছেন। এ বোধহয় নারীদের পক্ষেই সম্ভব।
ইতিহাস বলে বৌদ্ধ ধর্ম প্রচারের জন্য সম্রাট অশোক নিজের মেয়ে সঙ্ঘমিত্রাকে সিংহল পাঠিয়েছিলেন।১২০০ শতকে দিল্লির মসনদে রাজিয়া সুলতানা, ১৮০০ শতকের মাঝামাঝি – রানী লক্ষ্মীবাই নির্ভিকতার পরিচয় দিয়েছেন। বংলার প্রথম মহিলা ডাক্তার কাদম্বিনী গাঙ্গুলি, কবি সরোজিনী চট্টোপাধ্যায়, পরবর্তী কালে যিনি সরোজিনী নাইডু, স্বাধীনতা সংগ্রামী মাতঙ্গিনী হাজরা আমাদের আদর্শের পথ দেখিয়ে গেছেন।
কর্পোরেট দুনিয়ায় ইন্দ্রা নুই, নয়না লাল, রাধা রঙাস্বামি বসু, অরুন্ধতী ভট্টাচার্য্য ইত্যাদি বহু মহিলা দক্ষতার সঙ্গে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানকে উচ্চতার শিখরে পৌঁছে দিয়েছেন।
হিন্দু ধর্মের যত বিস্তার ঘটেছে, ব্রাহ্মণরা তত নিজেদের মতো করে, নিজেদের আখের গুছাতে জাত, বর্ন এসবের প্রভাব খাটিয়েছে। নারী কে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিবাহ, বাল্য বিবাহ, বহু বিবাহ, দেবদাসী, সহমরণ ইত্যাদিতে নিক্ষেপ করেছে । বর্তমান যুগে নারী ভোগ্য পণ্য বলে অনেকে মনে করেন। তাই আজও তাপসী মালিক, নির্ভয়া, কামদুনি, হাসরথ, আমরা দেখি। বিলকিস বানু র ধর্ষকদের গলায় মালা পরিয়ে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। নারীকে দাবিয়ে রাখার আদিম ও বন্য উপায় ধর্ষণ। আজও নদীয়ার কোন প্রত্যন্ত গ্রামের সদ্য কিশোরী বা তরুণী চার হাত ঘুরে কোন বড় শহরের বেশ্যালয়ে বিকিয়ে যায়। কন্যা সন্তান হলে এখনও বহু বাবাকে কপাল চাপড়াতে দেখি। তাঁরা মনে করেন কন্যা জন্ম দেবার দায় শুধু মায়ের, নিঃসন্তান হবার দায় শুধু মায়ের, বাবার নয়। পণপ্রথা এখনও রমরমিয়ে চলে। বাবার কাছ থেকে বারবার টাকা আদায়ের চাপের কাছে কত নারী নিজের জীবন ধ্বংস করে ফেলে – কতটুকু হিসেব আমরা রাখি? কন্যা বা পুত্র যাই হোক না কেন – সে যে সন্তান এটা বুঝতে এখনও এনারা অপারক।
শুধু অতীতের বিদুষী নয়, আপামর সকল মহিলা কে সন্মান করা শিখতে হবে। এখনও যে অনেকটা পথ বাকি। কে বলতে পারে যাকে আজ অবজ্ঞা করছি, কাল হয়তো তার সাহায্য দরকার পড়বে। কন্যা বলে যাকে আজ দমিয়ে রাখতে চাইছেন, কাল যে সে আপনার মুখ উজ্জ্বল করবে না – তা কে বলতে পারে।
নারী দিবস মানে শুধু একটা দিন নয়। প্রতিদিনের সন্মান। পৃথিবীর সৃষ্টির শুরুতেও নারী ছিল এখনও আছে নয়তো যে মানুষ নামক প্রজাতি একদিন শেষ হয়ে যাবে। কয়েকজন আঁতেল জুটিয়ে, হাতে পোস্টার নিয়ে মিছিল করে, মোমবাতি জ্বালিয়ে কামদুনি ঘটনার পুনরাবৃত্তি আটকানো যায় নি, যাবে না। টিভিতে মুখ দেখিয়ে চোখা চোখা শব্দ চ্য়ন করে বক্তৃতা দিয়ে এ সমস্যার সমাধান হয় না। চাই শিক্ষা, সচেতনতা, মানসিক বিকাশ। স্বামীজি বলতেন ঘরের কোণে বসে ঠাকুরকে না ডেকে যাও মাঠে গিয়ে ফুটবল খেলো – মনের বিকাশ হবে, শরীর গঠন হবে। সমাজ কে শিক্ষিত করতে হবে, জাত, ধর্ম সব ভুলে সবার আগে বুঝতে হবে বিত্ত নয়, ধর্ম নয়, জাত নয়, বর্ন নয় – তুমি মানুষ, তুমি কারও মা, কারও বোন, কারও মেয়ে। তোমাকে অসম্মান করা আমার নিজের মেয়ে, বোন, মা কা অসম্মান করার সামিল।
রবি ঠাকুরের কটি লাইন লিখে শেষ করি :-
‘ নহ মাতা, নহ কন্যা, নহ বধূ, সুন্দরী রূপসী
হে নন্দনবাসিনী উর্বশী।
গোষ্ঠে যবে নামে সন্ধ্যা শ্রান্ত দেহে স্বর্ণাঞ্চল টানি
তুমি কোন গৃহ প্রান্তে নাহি জ্বালো সন্ধ্যাদীপ খানি।’
What's Your Reaction?
Raj Kumar Mukherjee - sexagenarian. A father, a husband and a son, who has finally let go of excelsheets and PowerPoints and picked up a pen instead. A child at heart, he reminisces his childhood days and wishes that the world was a better place for all of us. An avid reader and storyteller at heart, he is spending his retirement by reading books, experimental cooking (mostly failures!) and writing.